মনির খান লোহাগড়া নড়াইল স্টাফ রিপোর্টার:নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার ফয়েজ মোড়ে অবস্থিত মডেল ডায়াগনস্টিক এন্ড ডায়াবেটিক সেন্টার। উক্ত প্রতিষ্ঠান টি পরিচালনা করেন মোজাম হোসেন, ওখানে প্রতিনিয়ত ভূয়া ডা: রেখে প্রতারনার ফাঁদ পেতেছে ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক গন। এর পূর্বে ও ২ টি ভূয়া ডা: ওই প্রতিষ্ঠানে ছিল।

বর্তমান নতুন করে বাংলাদেশে ০৬ জন ভূয়া ডা: প্রামানিত হয়েছে। তার মধ্যে ০১ জন লোহাগড়া মডেল ডায়াগনস্টিক এন্ড ডায়াবেটিকস সেন্টারে কর্মরত আছেন। উক্ত বিষয়টি সিভিল সার্জনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে। লোহাগড়া উপজেলার অদুরে প্রতিষ্ঠানটি গড়ে ওঠার কারণে প্রতিষ্ঠানের মালিক এর পূর্বে ২টি ভূয়া ডা: দাঁরা মানুষের ভুল চিকিৎসা দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে জানান নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক অনেকেই।

আরো জানা যায়, উক্ত প্রতিষ্ঠানে এক এক করে তিনটি ভূয়া ডাক্তার এ পর্যন্ত চিকিৎসাসেবা দিয়েছে, এবং ভুল চিকিৎসায় রোগীর পরিস্থিতি পূর্বে থেকে অনেক টা অবনতির দিকে গেলে সেই রোগীকে খুলনা যশোর নড়াইল রেফার্ড করেছে। রোগীর ভুক্তভোগী পরিবার ওই সময় রোগীদের নিয়ে পড়তে হয়েছে বিপাকে, কারণ তখন ই টাকার খেলা শুরু, ওই পরিবার রোগীকে বাঁচাতে বিভিন্ন কায়দায় টাকা পয়সা জোগাড় করে রোগীকে সুস্থ করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।

ভূয়া ডা: কে?

তিনি হলেন মোফাজ্জেল হোসেন , কিন্তু তিনি এম এইচ চৌধুরী নামে পরিচিত। পুরো ঠিকানা টা হলো মোফাজ্জেল হোসেন পিং আবদুর রহমান সাং ভাষান চর, উপজেলা: ফরিদপুর সদর,জেলা: ফরিদপুর। তাহার বিএম এন্ড ডিসি এর রেজিষ্ট্রেশন নংA-82974 Date-02-07-2017 প্রতারনা পূর্বক ০৬ ব্যক্তি(ক্রমিক নং ১-৫ ) গণ প্রজাতন্ত্রী চীনের তাইশান মেডিকেল ইউনিভার্সিটি এর এবং ০১( এক) ব্যক্তি ( ক্রমিক নং ০৬) Samara state medical University,Russia এর ভূয়া সার্টিফিকেট দাখিল করিয়া

বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল হইতে রেজিষ্ট্রেশন গ্রহণ করিয়াছেন। ওই ভূয়া ডা: গন মাধ্যম কর্মীর উপস্থিতিতে ওই ডা:এম এইচ চৌধুরী পালিয়ে যায়। আরো জানা যায় তিনি ফরিদপুর জেলা থেকে দাবড় খেয়ে এখানে এসে আসল নাম গোপন রেখে এম এইচ চৌধুরী নামে ওই ভূয়া ডা: মানুষের সেবা দিয়ে লোহাগড়ার অসহায় মানুষদের ঠকিয়েছে।

ওই ভূয়া ডা: বিষয় টি প্রমানিত হওয়ায় তাদের রেজিষ্ট্রেশন বাতিল করেছে এবং তাহাদের বিরুদ্ধে চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট নং ১২ ঢাকাতে মামলা হয়েছে।

মামলা নং যথা ক্রমে ২৭২/২১, ২৬৯/২১, ২৬৮/২১, ২৬৭/২১, ২৭০/২১ এবং ২৭১/২১ এমতাবস্থায় তাহারা নিজেদের কে চিকিৎসক বলিয়া পরিচয় দিতে কিংবা চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনা করিতে পারিবেনা।

যদি চিকিৎসা কার্য চালাইয়া যান তাহলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সমূহ কে অবহিত করার অনুরোধ করেন। ডা: মোঃ আরমান হোসেন রেজিষ্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল।